একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সব ধরণের খাবার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেই নয়, বৈজ্ঞানিকভাবে রোজার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। এ নিয়ে লিখেছেন আতাউর রহমান কাবুল।
ওজন হ্রাস করে
রোজা রাখলে দেহে ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি হয়। অভূক্ত থাকার সময় দেহ সঞ্চিত চর্বি ব্যবহার করে। ফলে উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদ্রোগ ও মুটিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে রোজা।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে রোজা। এজন্য ইনসুলিন প্রতিরোধী বা টাইপ টু ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য রোজা বেশ উপকারী।
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
রোজা রাখলে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো ঝুঁকির কারণগুলি হ্রাস করে। ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধ হয় বা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে
রোজার মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে এক ধরনের নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর নিঃসৃত হয়, যা অধিক নিউরন তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া মস্তিষ্কের সেরিবেলাম ও লিমরিক সিস্টেমের ওপর নিয়ন্ত্রণ তৈরি হয়। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে, জ্ঞান বিকশিত হয়, মনের অশান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর হয়।
প্রদাহ হ্রাস করে
ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহ নানা দীর্ঘস্থায়ী রোগের সাথে সম্পৃক্ত। রোজা রাখলে তা কমাতে সাহায্য করে।
বিপাকীয় প্রক্রিয়া উন্নত করে
রোজার সময় পেট খালি থাকার কারণে হজমের এসিড ধীরগতিতে নিঃসরিত হয়। ফলে বিপাকীয় প্রক্রিয়া উন্নত করে বা হজমের সমস্যা দূর হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোজা রাখলে নতুন ইমিউন কোষের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে ইমিউন সিস্টেমের সামগ্রিক কার্যকারিতা উন্নত করে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়
রোজা রাখলে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ কমায়। ফলে ব্রেনের কর্মক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায়। এতে আলঝেইমারস, ডিমেনশিয়া, পারকিনসনের মতো রোগগুলো প্রতিরোধ করা যায়।
কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে
রোজা রাখলে কিডনিতে সঞ্চিত পাথর কণা ও চুন দূরীভূত হয়। রোজার সময় কিডনি যথেষ্ট বিশ্রাম পায়, ফলে এ সময় কিডনি বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
সেলুলার মেরামত এবং অটোফেজি
অটোেফেজি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহের ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলিকে সরিয়ে বা পুনর্ব্যবহার করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে রোজা। যা দেহের সেলুলার বা কোষীয় প্রক্রিয়ায় দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটায়।
সংবাদচিত্র ডটকম/স্বাস্থ্য