থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দুপুর একটার দিকে ব্যাংককের ডং মিউয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নবাইরাকুল এবং দেশটির ইন্টেরিয়র মন্ত্রী পুয়াংপেত চুনলাইয়াড, ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রাচার প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল চুমফোন ক্লোইপায়ান।
সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এছাড়া শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে ১৯ বার তোপধ্বনি দিয়ে গান স্যালুট দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল ১০টার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা। ছয় দিনের এই সফরে জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। সফরে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে; সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০তম অধিবেশনে। সেখানে বক্তৃতা করবেন তিনি। একইদিন প্রধানমন্ত্রীর বেশকয়টি সৌজন্য সাক্ষাতের কর্মসূচিও রয়েছে।
২৬ এপ্রিল ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সাথে শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও পর্যটন সহযোগিতা, শুল্ক সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও মুক্ত বাণিজ্য সংক্রান্ত সম্মতিতে সইয়ের কথা রয়েছে। পরে থাই রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সাথেও সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। যেটিকে দুই দেশের সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন বলে মনে করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্য অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়নসহ নানা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বিস্তারিত আলোচনা হবে।
সংবাদচিত্র ডটকম/জাতীয়