মডেল ও অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি চাইলে হতে পারতেন একজন খ্যাতিমান গায়িকা। হতে পারতেন একজন তুখুড় নাচিয়ে শিল্পী কিংবা একজন আবৃত্তিকার। কিন্তু তিনি তা না করে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অভিনয়কে।
মডেন হিসেবে যেমন সুনাম কুড়িয়েছেন, তেমনি অভিনেত্রী বা পারফর্মার হিসেবেও রয়েছে তার একটা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ক্যারিয়ার। তিনি বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘হঠাৎ দেখা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবিটিতে দেবশ্রীর ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেন হিমি। কিন্তু এরপর স্থানীয় বা যৌথ প্রযোজনার আর কোনো ছবিতে তার অভিনয় করা হয়নি। তিনি ব্যস্ততা বাড়িয়েছেন মডেলিং ও নাট্যাভিনয়ের দিকে।
এখন কোভিড মহামারির কারণে সব ধরনের শুটিংয়ের কাজ বন্ধ। সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকা এই পারফর্মার কিভাবে ব্যস্ততাহীন সময়টা অতিবাহিত করছেন জানতে চাওয়া হলে হিমি বলেন, ‘চলাচলে নিষেধাজ্ঞায় এখন বাসাতেই আছি। আমার বিবিএ’র শেষ সেমেস্টার চলছে। এজন্য মনোযোগ দিয়ে অনলাইনে ক্লাস করছি। এছাড়া বাসার চৌহদ্দিতেই হাঁটাচলা করছি।
খাবারদাবার বিষয়ে যেহেতু কোরবানি করা হয়েছে, সেহেতু গরুর মাংস খাওয়া পড়ছে বেশি। পরিবারকে সময় দেয়া যাচ্ছে, মায়ের দেখাশোনা করতে পারছি। আমি আগে গান করতাম। এখন আবার হারমোনিয়াম নিয়ে বসতে পারছি।
এই অবসরে অনেক ম্যুভি দেখা হচ্ছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ওয়েব সিরিজ দেখছি। এভাবেই সময় কেটে যাচ্ছে। আরেকটা বিষয় হলো, আমি খুব একটা রান্নাবান্না করতে পারি না। এখন একটু-আধটু চেষ্টা করছি।’ এটা বলেই তিনি হাসতে থাকেন।
হিমি বলেন, ‘বাসায় কেউ রান্না করতে থাকলে তাকে সহযোগিতা করি। তবে রান্নার ব্যাপারে বাসার কেউ আমার উপর আস্থাশীল না।’ তিনি বলেন, ‘আমি এক সময় প্রচুর বই পড়তাম। এখন তেমন একটা পড়া হয় না। যেহেতু আমি শেষ সেমেস্টারে আছি, সেহেতু পাঠ্য বিষয়ে সময় দিতে হচ্ছে। অন্তত এই দুই মাস কোনো বই পড়তে পারব না।’
সংবাদচিত্র/টেলিভিশন