দিনভর দাবদাহের পর আবারও বৃষ্টিতে ভিজলো রাজধানী ঢাকা। শনিবার (১৭ জুন) সকালে থেকেই সূর্য তাপ ছড়াচ্ছিল, বিকাল পর্যন্ত তাপপ্রবাহ ছিল প্রবল। এরপর সন্ধ্যা নাগাদ কমে আসে তাপের প্রবাহ। বইতে শুরু করে ঠান্ডা বাতাস। এরপর সন্ধ্যা সোয়া ৭টা নাগাদ শুরু হয় বৃষ্টি।
প্রথমদিকে হালকা বৃষ্টি হলেও পরে বাড়তে থাকে, শনিবার সন্ধ্যার মতোই মুষলধারে পড়ছে বৃষ্টি। আগামীকালও আবহাওয়া এমনই থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে ঢাকার মতো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, রাজশাহী বিভাগসহ টাঙ্গাইল, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে কমতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে, ১২৯ মিলিমিটার। এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১২৬, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ৯৪, কুতুবদিয়ায় ৬৯, রাঙ্গামাটিতে ৫৪, বান্দরবানে ৪৭, নিকলিতে ৪৪, ময়মনসিংহে ৩৯, ঢাকায় ৩৬, কক্সবাজার ২৯, কুমিল্লায় ২৮, ফেনী ২৭, খেপুপাড়ায় ২০, তাড়াশ ও বগুড়ায় ১৯, নেত্রকোনায় ১৮, টাঙ্গাইলে ১৭, মাইজদীকোর্টে ১৫, চট্টগ্রামে ১৪, সন্দ্বীপ ও বদলগাছিতে ১১, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৫, চুয়াডাঙ্গা, টেকনাফ ও ঈশ্বরদীতে ৩, চাঁদপুর ও রাজশাহীতে ২, রংপুরে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী ও মোংলায় সামান্য বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
সংবাদচিত্রডটকম/রাজধানী