মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সকল তথ্য ও ঘটনা সঠিকভাবে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। এই জন্য গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীরা বিশেষ অবদান রাখতে পারে। যেভাবে ১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের ভাষণের পর থেকে দেশী বিদেশী গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীরা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রেখেছিল, যা মুক্তিকামী বাঙ্গালী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে বিশেষ অনুপ্রেরণা যুগয়েছিল।
আজ বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ড আয়োজিত বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ)-এর সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এমপি আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না। আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের আরও তথ্যবহুল সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান এমপি’র সভাপতিত্বে ও বিজেআরএফ–এর সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ড সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন আহমেদ পেয়ারা, বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক ও বিজেআরএফ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কৃষ্ণ রায় ও তরুন তপন চক্রবর্তী প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে অনুষ্ঠানে ৩৩ জন বিশিষ্ট সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
বিদেশি বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়ে, খাবার দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারত সহায়তা না করলে এত অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না।
স্বাধীনতার কয়েক মাস পরই ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হয়েছিল, ৭১-এর ১৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চৌরাস্তায়। স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পূর্বে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় এই সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ইতিহাসের স্বার্থে ১৯ মার্চের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সংবাদচিত্র ডটকম/রাজধানী