কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে গত ১২ দিন ধরে মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে বন্দর প্রাঙ্গণে আটকে আছে বিভিন্ন পণ্য। এরমধ্যে পচনশীল পণ্যও রয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বাহদুর। তিনি জানান, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ১৩ এপ্রিল থেকে স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে বন্দরে বিপুল পরিমাণ পচনশীল এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্য আটকে রয়েছে, যা আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে চরমভাবে ব্যাহত করছে।
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে- আলু (পচনশীল), সিমেন্ট (আবহাওয়ার কারণে শক্ত হয়ে যায়), সফট ড্রিঙ্ক এবং অন্যান্য পণ্য। যেগুলো এরই মধ্যে বন্দর প্রাঙ্গণে স্টক হয়ে আছে।
টেকনাফ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, মিয়ানমারেও আমাদের আমদানি করা বিভিন্ন পণ্য স্টক হয়ে গেছে। যা সময়মতো দেশে প্রবেশ করতে না পারায় ব্যবসায়িক স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক করতে এবং পণ্য প্রবাহ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে বুধবার টেকনাফ আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, ১২ দিন ধরে ব্যবসায়ীদের মালামাল বন্দরের গুদামে পড়ে রয়েছে। মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির কারণে মিয়ানমারের সঙ্গে আপাতত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। এরকম পরিস্থিতিতে একদিকে টেকনাফ বন্দরের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অপরদিকে সরকারও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
সংবাদচিত্র ডটকম/ব্যবসা বাণিজ্য