মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে সারা দেশে ইলিশ শিকার, সংরক্ষণ ও পরিবহনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে এই ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি জানান, মৎস্যজীবীদের মতামত ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার পরামর্শের ভিত্তিতেই এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই অভিযান সফল করতে মৎস্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলেদের সহায়তার জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণ করা হবে।
মৎস্য বিভাগ জানায়, ভোলার সাত উপজেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। তবে বেসরকারিভাবে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় আড়াই লাখ জেলে।
জেলা মৎস্য দফতর জানিয়েছে, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন এবং বেড়ে ওঠার জন্য প্রতিবছরই মেঘনা ও তেঁতুলিয়াসহ সংযোগ নদীগুলোতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তার ধারাবাহিকতায় এবার ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এ সময়ের মধ্যে মেঘনা নদীর চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
সংবাদচিত্র ডটকম/জাতীয়
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলার নিবন্ধিত জেলেরা ২৫ কেজি করে চাল পাবেন। এরইমধ্যে ওই চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মৎস্য বিভাগ সভা, সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ এবং পোস্টারিংসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে এই অভিযান সফল করার উদ্যোগ নিয়েছে।