বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। আজ রবিবার (৩১ আগস্ট) পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
অনিয়মের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ছুটিতে পাঠানো হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে তলব করে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল।
গত ১ জুলাই সশরীরে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। সেই ব্যাখ্যা দিয়েই প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এরই মধ্যে পদত্যাগপত্রটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এর আগে, গত ৩ মার্চ বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত বছরের ১৬ অক্টোবর দুর্নীতি ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ছুটিতে পাঠানো বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
অভিযোগ ওঠার পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের নেতৃত্বে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তদন্ত শুরু করেছেন। এ তদন্তের ধারাবাহিকতায় বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানকে অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ডাকা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
সংবাদচিত্র ডটকম/আইন ও বিচার