ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে দুই তদন্তকারীর নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। সকালে এ কমিটি গঠন করে সংস্থাটি।
প্রথম ধাপে কমিটিতে রাখা হয়েছে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং গুলশান আনোয়ার প্রধানকে। পর্যায়ক্রমে সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। কমিটি দুদকের মামলার আসামি পিকে হালদারকে দেশে ফেরাতে আইনি বাধা দ্রুত নিরসনের উপায় বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে, পিকে হালদার চক্রের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এবং ফাস ফাইন্যান্সসহ মোট চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋনের নামে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক। ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দুদক এ পর্যন্ত ৪০ টি মামলা করেছে। আরো এক ডজন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এর আগে, শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পি কে হালদারকে। নিরাপত্তার কারণে রাতেই সিবিআই স্পেশাল কোর্টে অনলাইনে রিমান্ড আবেদন করে ইডি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিংসহ চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নামে-বেনামে বিভিন্নভাবে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করে দেশ থেকে পালিয়ে পরিচয় গোপন করে পি কে হালদার নতুন নাম নেন শিবশঙ্কর হালদার।
সংবাদচিত্র/দুদক