আগেকার সময়ে দলিলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিতে বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ (টিপসই) ছিল সাধারণ একটি প্রক্রিয়া। কালের বিবর্তনে টিপসই প্রথা এক প্রকারে হারিয়ে গেলেও; এবার ঋণ জালিয়াতি ঠেকাতে গ্রাহক ও জামিনদারের স্বাক্ষরের পাশাপাশি বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক, সম্প্রতি আদালতে বেশ কিছু রিট পিটিশন দায়ের করা হচ্ছে, যেখানে ঋণগ্রহীতারা ও ঋণের জামিনদাররা উভয়েই যথাক্রমে ঋণগ্রহণ এবং জামিন দেয়া সংক্রান্ত দলিলে স্বাক্ষর দেননি বলে উল্লেখ করেছেন। ফলে সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের নির্ভুলতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা এবং জামিনদারের স্বাক্ষরের ওপর নির্ভর করতে হয় বলে ঋণ আদায়ের আইনগত প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতা নিরসনে ঋণ দেয়ার উদ্দেশ্যে গৃহীত ও গৃহীতব্য নহিপত্রের ঋণগ্রহীতা এবং জামিনদাতাসহ সংশ্লিষ্ট তৃতীয় ব্যক্তি ও পক্ষকে পড়ে শুনানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে নথিপত্রে স্বাক্ষরের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পাশাপাশি তাদের উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য সংরক্ষিত ডাটাবেজ থেকে যাচাই করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সংবাদচিত্র ডটকম/অর্থনীতি