সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমার পৌরসভায় পুলিশ মানুষ উঠতে দেয় না। পৌরসভার ক্যাম্পাস থেকে কিভাবে মানুষ নেয়। এ সাহস তাদেরকে কে দিয়েছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কি এ গুলো বন্ধ করবেন না। কি করতে চান। আপনি কি আমাকে সত্য বচন থেকে দূরে সরাতে চান, পারবেন না। আমি নামাজের বিছানায় বসে শপথ করেছি, পারবেন না।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১০টায় তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এমন মন্তব্য করেন ।
আধা ঘণ্টাব্যাপী লাইভে কাদের মির্জা বলেন, আমিতো প্রথম আমার এলাকা থেকে আমার ঘর থেকে শুরু করতে হবে। আমার এলাকার নিজস্ব অপকর্মগুলো তুলে ধরতে হবে। নোয়াখালীর অপকর্ম তুলে ধরেছি। কি বিচার করে আমরা দেখি। আজকে আমরা সত্য কথা বলতে গেলে আমাদের মুখ বন্ধ করার জন্য আমাদের কর্মীদেরকে নানা ভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে। ওবায়দুল কাদের আপনাকে জবাব দিতে হবে এগুলার জন্য, অপেক্ষা করেন। গণ আদালতে জবাব দিতে হবে একদিন। আপনি ছাড়া পাবেন না, রেহাই পাবেন না।
বসুরহাট পৌর মেয়র বলেন, আপনি জুয়েল্লার (জুয়েলের) হুঙ্কারে কেন ভয় পান। আপনার যদি ক্রটি না থাকে। এ ছেলে হুঙ্কার আপনাকে কিভাবে দেয়। আপনার ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকর। এ চাকর কিভাবে লং-আইলাইনে বাড়ি করে এটার হিসাবও আপনাকে দিতে হবে। আপনি তাকে দিয়া নাকি আপনি ঢাকাতে চাঁদাবাজি করেন, সে বলছে আমাকে দিয়া সবার থেকে চাঁদা উঠায়। আর সে সেখান থেকে সিংহ ভাগ নিয়া, লং-আইলাইনে বাড়ি করছে গাড়ি কিনছে। আপনার মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা আজকে আমেরিকা, সিঙ্গাপুরে বাড়ি আছে। এ গুলোর সব তথ্য আমার কাছে আছে। মুখ বন্ধ করতে পারবেনা। আপনি ওবায়দুল কাদের আমার মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমকে বাঁচায় রাখে। অস্ত্রবাজি বন্ধ কর। অস্ত্র তোমাদের কাছে থাকলে, আমি যদি অস্ত্রের রাজনীতি করতাম, তোমাদের প্রতিপক্ষ আর কেউ নেই, অস্ত্র আছে। ফেনীতেও আছে, নোয়াখালীতেও আছে। বলতে চাই না, যেহেতু আমি অস্ত্র বাজির রাজনীতি করিনা। আমিতো এখন দলে নেই। দলের নেতারা যদি কোন কারণে তাদের অস্তিতের জন্য, এখানে যদি অস্ত্রের ব্যবহার হয়। তখন পরিস্থিতি অস্থিশীল হলে এটার জন্য কে দায়ী হবে। আরো যখন কোন মায়ের বুক খালি হবে এটার জন্য কে দায়ী হবে।
কাদের মির্জা বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে আপনাদের সকল তথ্য ফাঁস করে দেব। আমি আজকে স্পষ্ট ভাষায় বলছি, আমার এখানে দমন নিপীড়ন এ গুলো বন্ধ করেন, আমার কর্মীদের ওপর। ওবায়দুল কাদের সাহেব এগুলো বন্ধ করেন। এগুলো আপনার কারসাজি।
ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইশরাতুন্নেসা কাদের প্রসঙ্গে বলেন, আপনার স্ত্রীর সব তথ্য আমার কাছে সব আছে। আপনার স্ত্রীর অপকর্ম আমরা তুলে ধরেছি। আপনার স্ত্রীকে বাঁচাতে পারবেন না। সে এখন দুদকের মামলার আসামি। আপনি চাপায় রাখছেন।