স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ঘিরে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। এ বিষয়ে তৎপর পতিত শেখ হাসিনা সরকারের দোসররা। প্রাতিষ্ঠানক ও সামাজিকভাবে একে অন্যকে হেয় করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করতে নগদ অর্থ সহায়তাসহ বিভিন্ন গ্রুপিং লবিংয়ে কাজ করছে চক্রটি। এতে ক্রমশ অশান্ত হয়ে উঠছে এলজিইডির সুশৃঙ্খল ও শান্ত পরিবেশ।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রকাশ, দীর্ঘদিন নানান অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসা চক্রটি এখনো তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এদের মধ্যে অনেকেই আবার ভোল পাল্টে বিএনপি জামায়াতের উর্দি পরে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
উল্লেখ্য এলজিইডি বাংলাদেশ সরকারের একটি সাংগঠনিক অধিদপ্তর। উন্নয়ন প্রকল্প প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন, অবকাঠামোর তথ্যভান্ডার, মানচিত্র, কারিগরি বিনির্দেশ, ম্যানুয়েল ইত্যাদি প্রণয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গ্রাম,শহর ও পানিসম্পদ এই তিন সেক্টরে এলজিইডির কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
সূত্র জানায় গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চক্রটি এলজিইডিতে নানান অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়। তারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ কর্মীদের বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে, মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের নামে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের মত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
সূত্র জানায়, সাবেক সরকারের সমর্থক ও সুবিধাভোগী কতিপয় কর্মকর্তা/কর্মচারী মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে ও বানোয়াট অভিযোগ তৈরি করে টাকার বিনিময়ে অসত্য সংবাদ প্রকাশের মত হীন কর্মকান্ড চালাচ্ছে। আর এতে করে সরকার, প্রশাসন ও জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে, একইসাথে এলজিইডিতে কর্মরত কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক সম্মান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে এলজিইডির একাধিক পদস্থ কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা সংবাদচিত্রকে জানান, কিছু কুচক্রী মহল এধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে এলজিইডির সুন্দর পরিবেশ অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তারা আরও বলেন, এতে বিভ্রান্ত হবার কোন সুযোগ নেই। গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী এলজিইডির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে পারবেনা। সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও বৈষম্যহীন এলজিইডি গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে অনুরোধ করেন।
বিগত সরকারের কঠোর সমর্থক এখন ভোল পাল্টে বলা শুরু করেছে তারা ছাত্র জীবনে ছাত্রদল/ছাত্র শিবির করত।
এদের কিভাবে সনাক্ত করবেন জানতে চাইলে এ্যাবের একজন প্রভাবশালী নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন,পল্টিখাওয়া এসব কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং এ্যাবের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় তদন্ত করা হচ্ছে।
এলজিইডি সূত্র জানায়, পতিত সরকারের দোসররা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কিছু হলুদ সাংবাদিকে টার্গেট করে তাদের উপঢৌকন দিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশনের মত হীন কৌশল অবলম্বন করছে।
তিনি আরো বলেন, অন্যান্য দপ্তরের মত এলজিইডিতে পরিবর্তনের হাওয়া লাগতে দেওয়া হয়নি। সেটিকে পুঁজি করে ওইসব কুচক্রী মহল তাদের পদ পদবী ও আধিপত্য ধরে রাখতে বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।
সংবাদচিত্র ডটকম/বিশেষ সংবাদ