ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য শুভ বলে মন্তব্য করেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের পর হোয়াইট হাউজে প্রথম বৈঠকে দুই নেতা এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
হোয়াইট হাউজে বুধবার (১৩ নভেম্বর) নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক হয় বাইডেনের।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়েরে বৈঠকের ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা বৈশ্বিক বিষয় ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ নীতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠকটি সত্যিই খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং আন্তরিক ছিল।’
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় বাইডেন যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য শুভ; কারণ ইউরোপ শক্তিশালী ও স্থিতিশীল হলে আমেরিকাও ভালো থাকবে। কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে না।
তবে ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার পক্ষে। কিন্তু কীভাবে তিনি যুদ্ধ শেষ করবেন বৈঠকে তা বলেননি নবনির্বাচিত রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন যে, বৈঠকে তারা মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে আমাদের অবস্থা কোথায় এ বিষয়ে আমি বাইডেনের মতামত জানতে চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে তা জানিয়েছেন।’
একজন ডেমোক্র্যাট হিসেবে বাইডেন ২০২০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান ট্রাম্পকে পরাজিত করেছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালে রিপাবলিকান ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনী বিতর্কে খারাপ করার পর এবং তার বয়স নিয়ে কথা ওঠায়, নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। তার বদলে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। যিনি ভোটে ট্রাম্পের কাছে হেরে যান।
বাইডেন-ট্যাম্প বৈঠকে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়েও কথা হয়।
বাইডেন বলেন, ‘আমরা যেমন বলেছি, মসৃণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য যা করা প্রয়োজন আমরা করেছি। আপনাকে আপনার জায়গা বুঝিয়ে দেয়াসহ আপনার যা প্রয়োজন সব নিশ্চিত করা হবে।’ এ সময় বাইডেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বলেন , ‘ওয়েলকাম, ওয়েলকাম ব্যাক।’
আগামী ২০ জানুয়ারী দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। বৈঠকে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘রাজনীতি কঠিন। কোন কোন ক্ষেত্রে এটি কদর্য। তবে আজ এর সুন্দর দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। আমি এটির খুব প্রশংসা করছি। ক্ষমতা হস্তান্তর একটি জটিল বিষয়; অথচ কী অবলীলায় সেটি আপনি সম্পাদন করছেন, জো।’