চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে ফেনীতে আটক করে ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতি ও লুন্ঠন করা মামলায় তৃতীয় দফায় রিমান্ড শেষে ডিবি’র ওসি সাইফুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১১ দিনের রিমান্ড শেষে আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন-এর আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে পুলিশের এই কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড শেষে গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) আদালতে হাজির করে আরও সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম।
রবিবার (২২ আগস্ট) শুনানি শেষে ডিবি ওসি সাইফুলকে তৃতীয়বারের মতো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এই ঘটনায় গত সোমবার (২৩ আগস্ট) মামলার বাদী ব্যবসায়ী গোপাল দাশ-এর গাড়িচালক শওকত আলী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বুধবার (১৮ আগস্ট) পুলিশের গাড়িচালক মঈনুল হোসেন ও আমজাদ হোসেন তুহিন আদালতে জবানবন্দী দেন। ওই দিনই দ্বিতীয় দফায় তিন দিন করে রিমান্ড শেষে এসআই মোতাহের হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক, এএসআই অভিজিৎ রায় এবং এএসআই মাসুদ রানাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পাশাপাশি এই মামলায় আটক, বাদীর সাবেক ব্যবসায়ী অংশীদার সমিদুল আলম ভুট্টো ১৫ আগস্ট রবিবার ডাকাতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁকেও মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুরে চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাশ-এর কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতি করা হয়। এই ঘটনায় ১০ আগস্ট ডিবি’র ওসি সাইফুলসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্বে থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই দিনই তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সংবাদচিত্র/আইন ও বিচার