ভাষাসংগ্রামী ও রবীন্দ্র-গবেষক আহমদ রফিক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণ
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়কার অগ্রণী মুখগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলেন আহমদ রফিক। তিনি শুধু ভাষাসংগ্রামে অংশ নেননি, বরং আন্দোলনের অভিজ্ঞতাকে প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ধরে রাখতে নানা লেখা ও বিশ্লেষণ রেখে গেছেন। তাঁর লেখা বই ও গবেষণাগুলো আজও ভাষা আন্দোলনকে জানার এক গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
রবীন্দ্রনাথ-গবেষক
আহমদ রফিক ছিলেন দুই বাংলার স্বীকৃত রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য, দর্শন ও মানবতাবাদ বিষয়ে তিনি দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে গবেষণা করেছেন। তাঁর লেখা ও গবেষণাগ্রন্থ রবীন্দ্র-অধ্যয়নকে সমৃদ্ধ করেছে। একাডেমিক মহলে তিনি ছিলেন অগ্রণী কণ্ঠস্বর।
কর্মজীবন ও অবদান
আহমদ রফিকের পেশাগত পরিচয় চিকিৎসক হলেও সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে তিনি আজীবন যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তবুদ্ধির চর্চা—সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন নির্ভীক মতপ্রকাশের প্রতীক। তাঁর কর্মজীবনে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এসেছে।
পুরস্কার ও সম্মাননা
একুশে পদক
বাংলা একাডেমি পুরস্কার
অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা
শেষ সময়ে
জীবনের শেষ প্রহরে তিনি বারডেম হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসমাইল সাদী চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তাঁর মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত করেন।
উত্তরাধিকার
ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামী, রবীন্দ্রনাথের বিশ্লেষক ও মুক্তচিন্তার ধারক আহমদ রফিক তাঁর দীর্ঘ জীবন ও কাজের মাধ্যমে যে আলোকবর্তিকা জ্বেলে গেছেন, তা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
সংবাদচিত্র ডটকম/শোক সংবাদ