সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার এক সাক্ষাৎকারে সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা মব কালচারে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আদালতের রায় বাস্তবায়ন হবে, বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে।”
রবিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কথিত জনতা উত্তরার বাসা থেকে নূরুল হুদাকে আটক করে এবং তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন চালায়। তারা বাসায় ঢুকে সাবেক সিইসিকে অপদস্থ করে। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভও করেন। একটি লাইভে দেখা যায়, নূরুল হুদার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয় এবং এক ব্যক্তি তার গেঞ্জির কলার ধরে বক্তব্য দেন। ভিডিওতে একজন পুলিশ সদস্যকেও পাশে দেখা যায়।
পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। উত্তরা পশ্চিম থানার একজন কর্মকর্তা জানান, পুলিশ যাওয়ার আগেই ‘মব’ তাকে হেনস্তা করে নিচে নামিয়ে আনে।
এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, “তবে তার ওপরে যে অবমাননাকর ব্যবহার করা হয়েছে এটা আমরা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির যেকোনো নেতা-কর্মী এই ঘটনায় জড়িত থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন (শৃঙ্খলাবিরোধী ব্যবস্থা) আমরা নেব। এটা আমাদের (বিএনপি) অবস্থান।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, কোনো ব্যক্তি যত বড় অপরাধীই হোন না কেন তার আইনি এবং সাংবিধানিক অধিকার যেন ভোগ করার অধিকার অক্ষুন্ন থাকে।”
নুরুল হুদার ভূমিকার সমালোচনায় তিনি বলেন, “দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বিনষ্ট করার জন্য যে কজন ব্যক্তি দায়ী, তার মধ্যে নুরুল হুদা অন্যতম। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনকে দীর্ঘায়িত করতে কয়েকটি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি কুলষিত ও ধ্বংস করার জন্য আরও কয়েকজন ব্যক্তি দায়ী। যেমন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক।”
তিনি বলেন, বিএনপি কখনোই এ ধরনের অপসংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না।
সংবাদচিত্র ডটকম/রাজনীতি