সাভার মডেল থানা থেকে যেসব অস্ত্র ও গুলি লুট হয়েছিল, তা ফেরত দিতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গতকাল দিনভর নানা ব্যক্তি সেনাবাহিনীর কাছে লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গুলি জমা দেন। তবে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা।
সাভার মডেল থানায় দুপুরে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মো. রুবেল হোসেনের কাছে জমা পড়ে তিনটি শটগান, একটি ওয়ান শুটার গান, একটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ৩৭০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ২৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া গণমাধ্যমকর্মী দিদারুল ইসলাম জানান, তিনি ফেসবুকে এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক একটি পোস্ট দেন। এরপর অনেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে অনেকেই এসব অস্ত্র ও গুলি জমা দেন। সেগুলো সেনাবাহিনীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, লুণ্ঠিত স্টিলের আলমারি, ফ্রিজ ও এসি জমা দিতে দুজন ফোন করেছিলেন। সেগুলো তার কাছে আসামাত্রই তিনি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবেন বলে জানান।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, নিঃসন্দেহে এটা ভালো উদ্যোগ। কারণ, পুলিশের খোয়া যাওয়া এসব অস্ত্র যে কোনো ধরনের অপরাধজনক কাজে ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, যার কাছে থানার লুণ্ঠিত যা কিছু আছে, তা নিঃসন্দেহে জমা দিন। জননিরাপত্তার স্বার্থেই লুণ্ঠিত অস্ত্রগুলো জমা দেওয়া প্রয়োজন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই উপজেলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরপর থানা তিনটিতে হামলা ভাঙচুর, অস্ত্র ও গুলি লুট এবং অগ্নিসংযোগের কারণে বন্ধ হয়ে যায় পুলিশি কার্যক্রম।
পুলিশ সুপার জানান, সোমবারের মধ্যেই সাভার মডেল থানার কার্যক্রম শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। থানা পুড়িয়ে দেওয়ায় আপাতত জেলা উত্তর গোয়েন্দা কার্যালয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে শুরু হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
সংবাদচিত্র ডটকম/সারাদেশ