তীব্র গরমের মধ্যে রবিবার (২১ এপ্রিল) সারাদেশে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় গরমের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সহকারি পরিচালক তৌহিদুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে সারাদেশে তীব্র তাপ প্রবাহ অব্যহত থাকায় শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দৈনিক সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হইলো।
এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও সাতদিন বন্ধের দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। শিক্ষকরাও গরমে স্কুল বন্ধ রাখার পক্ষে। তবে এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি শিক্ষাপ্রশাসন।
গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও কিছুদিন বন্ধ হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।
আর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানিয়েছেন, তারা এক দফা আলোচনা করেছেন। আবার বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।
অন্যদিকে লম্বা ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যে সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তখন দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা (হিট অ্যালার্ট) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী— শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খুলনা বিভাগের সবগুলো জেলাতেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে, অর্থাৎ তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সংবাদচিত্র ডটকম/শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন