ব্রোকারেজ হাউজের কারসাজিতে গ্রাহকের অর্থ খোয়া যাওয়া নতুন কিছু নয় দেশের শেয়ারবাজারে। গত অক্টোবর পর্যন্ত অন্তত ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি প্রায় সাড়ে ৮ হাজার বিনিয়োগকারীর।
এর মধ্যে তামহা সিকিউরিটিজ অতিরিক্ত অ্যাপ ব্যবহার করে ভুল তথ্য দিয়ে হাতিয়ে নেয় ১৩৯ কোটি টাকা। আর ব্যাংকো সিকিউরিটিজের গ্রাহক কনসলিডেটেড একাউন্টে ডিএসই ঘাটতি পায় ১২৮ কোটি। গ্রাহকদের অবগত না করেই কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ, যেখানে ঘাটতি পাওয়া গেছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকার নগদ অর্থ ও ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার। শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানি ট্রেড সেটেলমেন্ট ব্যর্থতায় তসরুফ করে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
ব্রোকারেজ হাইজের হাতিয়ে নেয়া এসব অর্থের কারণে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী। খোয়া যাওয়া অর্থের দাবি তাদের অনেক দিনের। অবশেষে, তা ফেরত দিতে শুরু করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। চারটি ব্রোকারেজ ফার্মের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা প্রথম ধাপে ২৫ কোটি কোটি টাকা পাচ্ছেন বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল থেকে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান জানান, ব্রোকারেজ ফার্ম থেকে পুরো অর্থ আদায়ের আগেই নিজস্ব তহবিল থেকে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণে এই উদ্যোগ। ধাপে ধাপে ফেরত দেয়া হবে দাবির পুরোটাই।
সংবাদচিত্র ডটকম/অর্থনীতি