বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আতাউস সামাদ। আজ ২৬ সেপ্টেম্বর, বরেণ্য এই সাংবাদিকের ১১ম মৃত্যুবার্ষিকী।
সাংবাদিকতা জীবনে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার ছিলেন আতাউস সামাদ।
সাংবাদিকতা জীবনে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার ছিলেন আতাউস সামাদ।
বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় গৌরবময় অবদান রাখা আতাউস সামাদ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৭ সালের ১২ নভেম্বর। আর জীবনাবসান ঘটে ২০১২ সালের আজকের এই দিনে। ৭৫ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই গুণী সাংবাদিক।
সাংবাদিকতার জীবনে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার থাকতে দেখা গেছে তাকে। তেমনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াননি কখনও।
১৯৫৬ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে সচিত্র সন্ধানী দিয়ে সাংবাদিকতা পথে হাঁটতে শুরু করেন। দীর্ঘ ৫৬ বছরের সাংবাদিকতায় অর্জন করেন অনেক গুণী মানুষের ভালোবাসা।
দীর্ঘ পেশাগত জীবনে কাজ করেছেন দৈনিক আজাদ, পাকিস্তান অবজারভার, দ্য সান, বাসস, বিবিসি ওয়ার্ল্ডের মতো জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে তাকে। সাহসী সাংবাদিকতার কারণে স্বৈরাচার এরশাদ সরকার তাকে গ্রেফতারও করেছিল। তবুও সত্য ও ন্যায়ের পথ থেকে পিছপা হননি।
শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করা আতাউস সামাদ দায়িত্ব পালন করেন আমার দেশ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক পদে। এনটিভির সংকটকালীন সময়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবেও তাকে কাজ করতে দেখা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করেন দীর্ঘ ২০ বছর। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য আতাউস সামাদ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। একুশে পদক ছাড়াও অসংখ্য পদক ও সম্মানে ভূষিত হওয়া বরেণ্য এই সাংবাদিক আজও বেঁচে আছেন অসংখ্য পাঠকের মণিকোঠায়।
সংবাদচিত্র ডটকম/স্মরণীয় বরণীয়