পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। আজ শনিবার দুপুরে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ সফলভাবে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়। প্রথম ইউনিটের ৬০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ১৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এই ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি। এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে এক হাজার ৬০৮ একর জমির ওপর স্থাপিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রয়েছে।
কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। আগামী বছর দ্বিতীয় ইউনিটও উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ সফলভাবে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রটি থেকে বর্তমানে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে, পর্যায়ক্রমে এই উৎপাদন বাড়বে।
সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জাপানের সহায়তায় প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর অন্যতম।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি ইউনিটে দৈনিক পাঁচ হাজার টন কয়লার দরকার হবে। দুটি ইউনিটে দরকার হবে ১০ হাজার টন। কেন্দ্রটির দুই লাখ টন কয়লা মজুদ করা হয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট আরও ৬৫ হাজার টন কয়লা আসবে এই কেন্দ্রে। ২৪০ দিনের কয়লা মজুদের অবকাঠামো রয়েছে কেন্দ্রটিতে।
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাছে এলএনজি ও এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার এবং জাপানি সংস্থা জাইকার মধ্যে ২০১৪ সালের ১৬ জুন একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সহায়তা হিসেবে জাইকা ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট সাত হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার ও সিপিজিসিবিএলের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করা হচ্ছে। প্রকল্পটির দু’টি অংশ, যার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্যটি বন্দর।
সংবাদচিত্র ডটকম/বিদ্যুৎ ও জ্বালানি