বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত। অনুপ্রবেশের মামলায় শিলংয়ের নিম্ন আদালতের বেকসুর খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের করা আপিল খারিজ করে মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালত এ রায় দিয়েছেন।
এ রায়ের পর সময় সংবাদকে দেয়া একান্ত প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে ফিরতে চান তিনি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির বর্তমান স্থায়ী কমিটির সক্রিয় সদস্য ও এক সময়ের প্রভাবশালী মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ।
নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই বছরের ৩ জুন শিলংয়ের একটি থানায় সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এরপর তাকে কয়েকদিনের জন্য পুলিশি রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষে পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে।
প্রায় ৩ বছর পর ২০১৮ সালে মামলাটির বিচারপর্ব শেষ হয়। ওই বছরই ২৬ অক্টোবর আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ ফের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।
যে কারণে বেকসুর খালাস পেলেও বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি সালাহউদ্দিন। তাকে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হতো। সালাহউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী আদালতের কাছে বরাবরই দাবি করে আসছিলেন, তার মক্কেল গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।
সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে এতদিন যে আইনি জটিলতা ছিল, মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শিলংয়ের জজ আদালতে এক রায়ে তা নিস্পত্তি হয়। রায়ে আদালত তাকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে এখন ভারতের মেঘালয় রাজ্য সরকার চাইলে বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সহায়তায় তাকে দেশে পাঠাতে পারবে।
এ বিষয়ে সময় টিভির কলকাতা ব্যুরো অফিস থেকে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে বিএনপি নেতা তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ভারতের অবস্থানের প্রথম দিন থেকেই দেশে যাওয়ার জন্য আকুল আবেদন করে আসছেন তিনি।
সংবাদচিত্র ডটকম/আন্তর্জাতিক