রংপুরে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ফলে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সব যানবাহন। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
কায়সার নামে এক যাত্রী বলেন, ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। আজ ছুটি শেষ, কাল অফিস করতে হবে। সকালে অটোরিকশা করে বাসস্ট্যান্ডে এসেছি কিন্তু বাস বন্ধ। কীভাবে ঢাকায় যাব বুঝতে পারছি না। এভাবে ধর্মঘট দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের ভোগন্তিতে ফেলার কোনো মানে হয় না।
রবিউল ইসলাম নামে আরেক যাত্রী বলেন, ঢাকা থেকে বোনের বাড়িতে এসেছি। এখন আবার ঢাকায় যাব, তাই সকালে বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। বাস বন্ধ থাকায় আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।
রংপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দ আল হাসান বলেন, ধর্মঘটের নামে মানুষকে এভাবে ভোগান্তিতে ফেলা ঠিক না। জরুরি প্রয়োজনে আজকে ঢাকায় যেতে হবে। কিন্তু যাবার কোনো উপায় দেখছি না।
রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সামু বলেন, কোনো ধর্মঘটই গণসমাবেশকে আটকাতে পারবে না। সাধারণ মানুষ বিএনপিকে সাপোর্ট করছে। বিএনপির সমাবেশ বানচাল করতে সরকার ধর্মঘট দিয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
নির্বাচনকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার ও খালেদ জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে বিএনপি দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে। ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও ২২ অক্টোবর খুলনায় সমাবেশ করেছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ অক্টোবর রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে চতুর্থ গণসমাবেশ করবে বিএনপি।
সংবাদচিত্র ডটকম/সারাদেশ