দেশের ১৬টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নাম বাদ দিয়েছে সরকার। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ১৫টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল ফটকের সাইনবোর্ড, ওয়েবসাইটসহ সব জায়গায় নতুন নাম প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুন নাম অনুসারে, নাম পরিবর্তিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির ‘শেখ কামাল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’, যা এখন থেকে পরিচিত হবে ‘বালিয়াকান্দি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ হিসেবে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর নতুন নাম ‘টুঙ্গিপাড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। বরগুনার আমতলির ‘শেখ হাসিনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘আমতলী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। পাবনার সাঁথিয়ার ‘শহীদ শেখ রাসেল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এখন ‘সাঁথিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ নামেই পরিচিত হবে।
এছাড়া ফরিদপুর, শরীয়তপুর, নওগাঁ, যশোর, জামালপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত আরও একাধিক টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঠাকুরগাঁওয়ের ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘ঠাকুরগাঁও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’। এসব প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে বাদ পড়েছে শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, ওয়াজেদ চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম খোকা, আবু শারাফ সাদেকসহ আরও কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এক আদেশে ১৬টি স্কুল, ৩টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ৩টি কলেজসহ মোট ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে। এছাড়া তারও আগেও ৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৬টি মেডিকেল কলেজ ও ১৪টি হাসপাতাল থেকেও প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়।
সংবাদচিত্র ডটকম/জাতীয়