বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে মাদক আইনের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১০ এপ্রিল) জামিন চেয়ে তার আইনজীবী আবেদন করলে মহানগর হাকিম শান্তা আক্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) আসামিকে পুলিশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে গুলশান থানা পুলিশ। পরে আদালত শুনানি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে র্যাব গুলশানে অভিযান চালিয়ে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এক নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতার করে র্যাব।
পরদিন র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন জানান, ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসে ট্রাম্পস ক্লাবে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আজিজ মোহাম্মদ এবং আশিষ রায় চৌধুরী সোহেলকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করেন।
যার পরিপ্রেক্ষিতে আজিজ মোহাম্মদ শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনকে দায়িত্ব দেন সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করার। বোতল চৌধুরীও ছিল পরিকল্পনাকারীদের একজন।
বর্তমানে আজিজ মোহাম্মাদ ভাই আছেন ব্যাংককে। আদনান চৌধুরী মেডিকেল গ্রাউন্ডে জামিন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। আর এ মামলার অন্যতম আসামি সেলিম খান পলাতক রয়েছেন বলেও জানান র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন।
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে ৮ নম্বর আসামি ছিলেন আশিষ রায় চৌধুরী।
এর আগে, মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে আশিষকে গ্রেফতারের পর সাংবাদিকদের র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘উনি (আশিষ) মাঝে মাঝেই বিদেশে গিয়েছেন। একটি দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে বলে উনি আমাদের বলেছেন। যেটা যাচাই করে পরে বলতে পারব।’
খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২৮ মার্চ তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। ওই বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গোপন তথ্যে এই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাসা মিরপুর ডিওএইচএস। কিন্তু এই বাসাটি তিনি আত্মগোপনের জন্য ব্যবহার করছিলেন। বাসাটি তিনি ভাড়া নিয়েছিলেন। অভিযানে বাসা থেকে ২৩ বোতল মদ, বেশকিছু বিয়ার, সিসার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছি।’
সংবাদচিত্র/আইন ও বিচার