বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য, পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান ইমু আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পোনে চারটার দিকে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর। তিনি দীর্ঘদিন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় গেণ্ডাস্থ ইমুর পুকুরপাড় মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা ইমু পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার ও জাতীয় রাজনীতির বিভিন্ন দায়িত্বে দায়িত্ব পালন করে জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন। এলাকার মানুষ তাঁকে সৎ, নিবেদিতপ্রাণ ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে স্মরণ করছেন।
জন্ম ও শিক্ষা: ইমু ১ জানুয়ারি ১৯৫০ সালে সাভারের গেন্ডায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কবির উদ্দিন খান (তারা মিয়া) ছিলেন সাভার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। মাতার নাম অজিফা খানম। তিনি সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তিন ছেলেসহ পরিবারে তিনি ছিলেন সবার ছোট।
রাজনৈতিক জীবন: ১৯৬৪ সালে ছাত্রলীগে যোগদান, ১৯৬৫-৬৮: কলেজ ও জেলা পর্যায়ে ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন।
১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন।
১৯৭৩-১৯৭৬: সাভার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
১৯৮৫: সাভার উপজেলা প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান
১৯৯৪-২০০৩: সাভার পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান
১৯৮৮: চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত
তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হলেও স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
আশরাফ উদ্দিন খান ইমুর মৃত্যুতে সাভারবাসী এবং রাজনৈতিক অঙ্গন শোকাহত। তার অবদান ও নেতৃত্ব দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্থানীয় উন্নয়নের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সংবাদচিত্র ডটকম/শোক সংবাদ