দেড়শ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটি করল তিন অঙ্কের রান, জয়টাকে তো তখন নিশ্চিতই মনে হচ্ছিল! এরপরই অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স। ৯ রানের এদিক ওদিকে ৬ উইকেট নেই। সবকটা রিভিউও গেছে হাত ফসকে। বাংলাদেশ তখন নিশ্চিত হার দেখছিল।
ম্যাচটা পেন্ডুলামের মতো দুলে বাংলাদেশের পক্ষে এসে গেল এরপরই। রিশাদ হোসে নিয়ে নুরুল হাসান সোহান গড়লেন ১৮ বলে ৩৫ রানের জুটি। তাতেই কঠিন হয়ে পড়া ম্যাচটা অবশেষে ৪ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
বাংলাদেশের রান তাড়ার শুরুটা ছিল দারুণ। ওপেনার তানজিদ হাসান আর পারভেজ হোসেন মিলে গড়েছিলেন শতরানের জুটি। দুজনেই ফিফটি করেছেন। পারভেজ ৩৭ বলে ৫৪ রান করেন। তানজিদ ৩৭ বলে ৫১ রান করেন। তাঁদের ব্যাটেই ১০৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তবে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে হঠাৎই ভেঙে পড়ে ব্যাটিং। এক ওভারে সাইফ হাসান ও তানজিদকে আউট করেন রশিদ। পরের ওভারে ফেরান অধিনায়ক জাকের আলীকে। শামীমও আউট হন তাঁর ঘূর্ণিতে। ফলে ১০৯/০ থেকে চোখের পলকে ১১৮/৬ হয়ে যায় স্কোরবোর্ডের চেহারা।
এমন পরিস্থিতিতে ফিরে ফিরে আসছিল গেল বছর এই আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচের প্যারানয়া। গেল নভেম্বরে এই শারজাতেই ২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে ২৩ রানে শেষ ৮ উইকেট খুইয়ে ১৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। আজও প্রতিপক্ষ এক, মঞ্চ এক… ৯ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসায় পরিস্থিতিটাও এক হওয়ার চোখরাঙানি দিচ্ছিল।
সেটা শেষমেশ হতে দেননি নুরুল হাসান ও রিশাদ হোসেন। সপ্তম উইকেটে দুজন গড়েন ৩৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। মাত্র ১৮ বলে এই রান তুলে নেন তারা। শেষ দিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ওভারে নুরুল টানা দুটি ছক্কা মারেন। রিশাদ মারেন একটি বাউন্ডারি। ১৯তম ওভারেই জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় আফগানিস্তান। শুরুতেই নাসুম ও তানজিমের আঘাতে চাপে পড়ে তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও শেষ দিকে নবী ২৫ বলে ৩৮ রান করেন। শরফউদ্দীন খেলেন ২৫ বলে ১৭ রান। শেষ ওভারে ১৩ রান তুলে ২০ ওভারে ১৫১ রান করে আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে তানজিম ও রিশাদ দুটি করে উইকেট নেন। নাসুম ও মোস্তাফিজ নেন একটি করে।
প্রথম ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১–০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুক্রবার।
সংবাদচিত্র ডটকম/ক্রিকেট