এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীসহ প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারকারী মোছাঃ শাহনাজ পারভীন (এসিসট্যান্ট মনিটরিং এক্সপার্ট পিইডিপি-৪, প্রকল্প ৬২, পশ্চিম আগারগাও, ঢাকা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়, এলজিইডি) ঢাকায় কর্মরত।
অভিযোগে জানা যায়, “এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক শাখা) মো. হাসানুজ্জামান (টিন নং-২৯৪৪৪৭৪৮০৯২৬)। তারা উভয়ে সহকর্মী হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন হয়। যার ফলে এক পর্যায়ে হাসানুজ্জামানের প্রতি বিশ্বাস তৈরী হয়। সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার এক পর্যায়ে প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান- শাহনাজকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
অভিযোগকারী শাহনাজ জানান, ২০১৯ সাল থেকে শুরু করে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় হাসানুজ্জামান শাহনাজের বর্তমান বাসায় ও তার বন্ধুর বাসায় একাধিকবার দৈহিক মিলামেশা করেন। যার একাধিক ভিডিও চিত্র শাহনাজের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে বলে দাবী করেন।
শাহনাজ অভিযোগে বলেন, “আমাদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার এক সময় হাসানুজ্জামান আমার ছেলেকে কানাডায় পাঠানোর কথা বলেন। আমার নিকট নগদে বিভিন্ন সময় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন। কিন্তু বিভিন্ন ওজর আপত্তি দিয়ে ছেলেকে বিদেশে না পাঠাতে পারবে না বললে- আমি তার কাছ থেকে টাকাগুলো ফেরত চাই। এতে করে তিনি আমার ওপর রাগান্বিত হয় এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয়।
শাহনাজ জানান, “আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে আমার স্বামীকে ডির্ভোস করতে বলেন, আমি তার কথায় বিশ্বাস করে আমার স্বামীকে ডিভোর্স করি। কিন্তু এরপর থেকে সে আমার সঙ্গে নানান টারবাহানা করতে থাকে এবং আমাকে বিয়ে করবে না বলে জানায়।”
“বিষয়টি নিয়ে আমার অফিসিয়ালি বিভিন্ন দেন-দরবার করার চেষ্টা করেন হাসানুজ্জান। আমি তার কথায় রাজি না হওয়ায়, তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকি দেন। তিনি আমাকে বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা দিয়ে ফোন করিয়ে আমাকে বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।”
এমতাবস্থায় শাহনাজ পারভীন নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে গত ২৬ জানুয়ারি,২০২৫ তারিখে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে উক্ত বিষয়ে তদন্তপূর্ব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি আবেদন করেছেন। চলবে-
সংবাদচিত্র ডটকম/অপরাধ