সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সংগঠনের আদর্শ ও স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ গণত মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতির সাংগঠনিক সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেন সংগঠনের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) মাহফুজুর রহমান। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে আনীত অভিযোগের তদন্তে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- আবু তৌহিদ মো. সিয়াম (সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক), নাঈম আবেদীন (সিনিয়র সংগঠক) ও মোহাম্মদ আরশাদ হোসাইন (সদস্য)।
তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্য সচিব জাহিদ আহসান বরাবর জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রংপুর মহানগরীর হারাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে অন্তত অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) এর রংপুর মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতির বিরুদ্ধে। তিনি ওই বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি।
ঘটনাটি ঘটে গত ৪ সেপ্টেম্বর এবং এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এনিয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। কিন্তু ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আইনগত বিচার না পাওয়ায় বিষয়টি মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জানাজানি হয়।
ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। কমিটি বিলুপ্ত হবার পর গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন (বাগছাস) রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক মনোনীত হন। তিনি ঢাকার বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমি ছয় মাস ধরে স্কুলে পরিশ্রম করছি, বাচ্চারা যেন ভালো ফল করে। তাই একটু রাগারাগি করেছি, শাসন করেছি। ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর কোনো অভিযোগ নেই।
তিনি আরও দাবি করেন, আমি এলাকার বড় ভাই। বিষয়টি অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। তবে এটি মীমাংসা হয়েছে।
মারধরের বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অস্বীকার করলেও মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই আহ্বায়ক। সেখানে ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি লিখেছেন, এই বিষয়টিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, দোষ কারো নয়। না শিক্ষার্থীর, না অভিভাবকের, না শিক্ষকদের। ভুল যদি থেকে থাকে, সেটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত।
সংবাদচিত্র ডটকম/অপরাধ