শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও দু-তিন দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সজল কুমার রায়।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পান্থপথে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
প্রকৌশলী বলেন, ‘ভারি বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বাঁধ ভেঙে পানি উপচে পড়ে আকস্মিক এ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতি আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকবে। আগের তুলনায় পানি বাড়ার হার কমলেও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এ সময় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেরপুরের নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় কমপক্ষে ১১৩টি গ্রাম এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ৫০টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবারের মানুষ।’
শেরপুর জেলায় পানি বাড়ার হার কমে এসেছে জানিয়ে সজল কুমার রায় বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার পর পানি আরও নেমে যাবে। দু-তিন দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
এদিকে, ঢাকাসহ অন্য বিভাগে ভারি বৃষ্টিপাত হলেও বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সংবাদচিত্র ডটকম/সারাদেশ