গাজীপুরের বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে নাশকতা সৃষ্টির মূল পরিকল্পনাকারীসহ সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রেললাইন কেটে নাশকতাকারী সকলেই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
গত ১৩ ডিসেম্বর ভোর রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর বনখড়িয়া এলাকায় চিলাই রেল ব্রিজের পাশে (ভাওয়াল স্টেশনের কাছে) গ্যাসকাটার দিয়ে রেললাইন কেটে রাখে দুর্বৃত্তরা।
এতে ভোর ৪টা ১০ মিনিটে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই আসলাম হোসেন নামে এক যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী। ট্রেন চালকসহ সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস।
জিএমপি কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গতকাল শনিবার দুষ্কৃতকারী দলের সদস্য জান্নাতুল ইসলাম (২৫) ও মেহেদী হাসানকে (২৫) আটক করে জিএমপি। জিজ্ঞোসাবাদে ঘটনার ‘মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা’ গাজীপুর সিটির ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজমল ভূঁইয়াসহ আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গাড়িচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর নাশকতাকারীরা বিয়েবাড়ি যাওয়ার কথা বলে জিএমপি’র কোনাবাড়ী থেকে একটি হায়েস গাড়ি ভাড়া করে। পরে তারা ঢাকা যাওয়ার কথা থাকলেও না গিয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে থাকে।
জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে নাশকতার উদ্দেশ্যে নির্জনস্থানে গিয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম ও ছাত্রদলের আজিমুদ্দিন কলেজ শাখার আহবায়ক ত্বোহার নেতৃত্বে বিএনপি ও ছাত্রদলের আট কর্মী এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
সংবাদচিত্র ডটকম/সারাদেশ