শেষরক্ষা হল না। ঋষভ পন্ত ও শিমরণ হেটমায়ারের দুরন্ত ব্যাটিংয়েও জিততে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস। পন্তদের এক রানে হারিয়ে ফের লিগ তালিকায় শীর্ষ উঠে এলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুর। প্রথম ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বর কোহলির দল। পাঁচ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আর তিন নম্বরে দিল্লি ক্যাপিটালস এবং চারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
এবি ডি ভিলিয়ার্সের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের পর পন্তদের সামনে টার্গেটটা মন্দ ছিল না। জয়ের জন্য ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লি ক্যাপিটালসের। ইনিংসের শুরুতেই ফর্মে থাকা শিখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে আরসিবিকে দারুণ শুরু দেন কাইল জেমিসন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ধাওয়ানকে ফেরার পর পরের ওভারেই স্টিভ স্মিথকে ফিরিয়ে দিল্লিকে জোড় ধাক্কা দেয় আরসিবি। ধাওয়ান ৬ ও স্মিথ ৪ রানে ডাগআউটে ফেরেন। অপর ওপেনার পৃথ্বী শ্বাহও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ২১ রান করে আউট হন পৃথ্বী।
এর পর দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন পন্ত। প্রথমে মাকার্স স্টওনিস ও পরে হেটমায়ারের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ম্যাচে ফেরান দিল্লি ক্যাপ্টেন। দুরন্ত ইনিংস খেলেন হেটমায়ার। পন্তের থেকেও ভয়ংকর ছিলেন তিনি। মাত্র ২৫ বলে চারটি ছয় ও ২টি বাউন্ডারি মেরে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর ৪৮ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন পন্ত। শেষ পর্যন্ত উইকেট থেকেও দলকে জেতাতে পারলেন না দিল্লি ক্যাপ্টেন। শেষ ওভারে দিল্লির জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। কিন্তু ১২ রান তোলে দিল্লি।
এর আগে, এবি ডি ভিলিয়ার্সের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে স্কোর বোর্ডে বড় রান তুলেছিল আরসিবি। বিরাট কোহলি ব্যর্থ হলেও এবি ডি ভিলিয়ার্স ও পতিদার ৩৮ বলে ৫৪ রানে পার্টনারশিপ গড়ে আরসিবিকে এগিয়ে নিয়ে যান। পতিদার ২২ বলে ৩১ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হন। তারপর একা দলকে টানেন এবি ডি। শেষ পর্যন্ত ৫টি ছয় ও তিনটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে আরসিবিকে ১৭১ রানে পৌঁছে দেন এবি ডি।
দলকে বড় রানে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি এদিন ব্যক্তিগত মাইলস্টোনে পৌঁছন তিনি। ইনিংসের ১৫তম ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে আইপিএলে ৫০০০ রানের মাইলস্টোন স্পর্শ করেন এবি। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে এই মাইলস্টোনে পৌঁছালেন তিনি। এর আগে একমাত্র বিদেশি হিসেবে আইপিএলে এই মাইলফলক অতিক্রম করেছেন ওয়ার্নার।