কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুরে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা মামলার আসামি মো. মাসুদ রানাকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে জামাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
বুধবার ( ১০ মে) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় কুমিল্লা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এই গ্রেফতার এড়াতেই গোপনে মাসুদ দুবাই পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
গ্রেফতার হওয়া মাসুদ রানা কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জামাল হত্যাকাণ্ডে মাসুদের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছিলেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। আজ তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ দেবিদ্বারের বড়কামতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সৈকতকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।
সৈকত দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের নবিয়াবাদ গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। সেও দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের অনুসারী বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, চেয়ারম্যান আজাদ, মাসুদ ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া সৈকত একই গ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে জানতে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
গত ৩০ এপ্রিল রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ২ মে রাতে দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আট জনের নামে নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার মামলা করেন।
সংবাদচিত্র ডটকম/সারাদেশ