মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানা থেকে সাড়ে ছয় ঘণ্টার অভিযানে ছয় নারীসহ ১০ জঙ্গি সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের সাথে থাকা তিন শিশুকেও উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১২ আগস্ট) ‘অপারেশন হিলসাইড’ নামে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের এক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
এই অভিযানে আটক হওয়া সদস্যরা হলেন- শরীফুল ইসলাম (৪০), হাফিজ উল্লাহ (২৫), খায়রুল ইসলাম (২২), রাফিউল ইসলাম (২২), মেঘনা (১৭), শাপলা বেগম (২২), মাইশা ইসলাম (২০), মোছা. সানজিদা খাতুন (১৮), আমিনা বেগম(৪০) ও মোছা. হাবিবা বিনতে শফিকুল (২০)।
এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও জঙ্গিবাদি বই।
আটক হওয়া সদস্যরা ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে একটি নতুন জঙ্গি দলের সদস্য বলে জানায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, আটক জঙ্গিরা ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের অনুসারী। তারা এই এলাকায় ৫০ শতক টিলাজমি কিনে প্রায় এক বছর ধরে অবস্থান করছিল। তাদের অনুসারী বাড়ানোর জন্য এখান থেকেই দাওয়াতি কাজ চালায় ঢাকাসহ সারা দেশে।
স্থানীয়রা জানান, আটক হওয়া সদস্যদের কার্যকলাপ ছিল সন্দেহজনক। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের কাছে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা আসতো। গতিবিধি ছিল অস্বাভাবিক।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মুহিবুল ইসলাম আজাদ বলেন, প্রথম থেকেই তাদের চলন-বলন অন্যরকম লাগছিল। দীর্ঘ সময় ধরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে নজরদারি রাখি। অনেক অভিযোগ এবং ভয়ংকর তথ্য আসতে থাকে তাদের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু দিন ধরে অনেক টাকা-পয়সা লেনদেনের খবর আসতে থাকে। এতেই সন্দেহ বাড়ে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের জুগিটিলা গ্রামে জঙ্গি আস্তানার খবর পেয়ে শুক্রবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় একটি বাড়ি ঘেরাও করে পুলিশ। শনিবার (১২ আগস্ট) ভোরে ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা। পরে সেখানে যোগ দেন সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা।
সংবাদচিত্র ডটকম/সারাদেশ