খ্যাতিমান রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মিতা হক নেই ৪ বছর হলো। গতকাল (১১ এপ্রিল) তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পার হলো।
৪ বছর আগে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে মারা যান মিতা হক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে মিতা হককে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল। ১১ এপ্রিল ভোর ৬টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মিতা হক ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী।
মিতা হক প্রথমে তার চাচা রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৭ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশন করেন।
সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করে সেখানে পরিচালক ও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন মিতা হক। এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। ১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’।
ক্যারিয়ারে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন মিতা হক। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে।
মিতা হক ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১৭ সালে মিতা হককে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয়। একই বছর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘রবি-চ্যানেল আই রবীন্দ্রমেলা’য় রবীন্দ্র সংগীতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মিতা হককে ‘চ্যানেল আই আজীবন সম্মাননা’ দেওয়া হয়।
২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকার এই খ্যাতিমান শিল্পীকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
সংবাদচিত্র ডটকম/বিনোদন