ভারতের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার দিলীপ দোশী সোমবার ৭৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে লন্ডনে বসবাস করছিলেন। ক্রিকেটবিষয়ক পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, হৃদ্রোগের কারণে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ক্ল্যাসিক্যাল এই সাবেক বাঁহাতি স্পিনার ভারতের হয়ে ৩৩ টেস্টে ১১৪ উইকেট নিয়েছেন। ছয়বার আছে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। ১৫টি ওয়ানডেতে তাঁর উইকেট সংখ্যা ২২, ইকোনমি রেট ৩.৯৬। ভারত ও ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন সৌরাষ্ট্র, বেঙ্গল, ওয়ারউইকশায়ার ও নটিংহামশায়ারের হয়ে।
৭০-এর দশকে ভারতের বিখ্যাত স্পিন ‘চতুষ্টয়’–এর (বিষেন সিং বেদি, এরাপল্লি প্রসন্ন, ভগবৎ চন্দ্রশেখর, শ্রীনিবাসরাঘবন ভেঙ্কটরাঘবন) পথ ধরেই জাতীয় দলে আসেন দোশী।
১৯৭৯ সালে চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩২ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় তাঁর। নটিংহামশায়ারে খেলার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্সের প্রভাব পড়েছিল তাঁর ওপর। তবে আশির দশকে ক্রিকেট থেকে নীরবেই সরে যান। যেভাবে ভারতীয় ক্রিকেট চলছিল তাতে অসন্তুষ্ট ছিলেন এই স্পিনার। ক্রিকেটজীবন নিয়ে আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্পিন পাঞ্চ’-এ নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের খোলামেলা গল্পই বলেছেন তিনি।
২০০৮ সালে ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দোশী বলেছিলেন, ‘স্পিন বোলিং একরকম বুদ্ধির লড়াই।’ তিনি বরাবরই পরিচিত ছিলেন একজন ‘থিংকিং ক্রিকেটার’ হিসেবে।
তাঁর এই গুণটাই দেখা গিয়েছিল ১৯৮১ সালের মেলবোর্ন টেস্টে। ঐতিহাসিক সেই ম্যাচে ভাঙা আঙুলে বোলিং করে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতকে জিতিয়েছিলেন দোশী। পরিস্থিতি এমন ছিল যে প্রতিদিন খেলার পর তিনি ‘ইলেকট্রোড’ ব্যবহার করে আঙুলের ফোলা কমাতেন। দিলীপ দোশীর ছেলে নয়ন দোশী সারে ও সৌরাষ্ট্রের হয়ে খেলেছেন।
সংবাদচিত্র ডটকম/ক্রিকেট