রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই সূর্যের দেখা নেই। সেই সাথে কুয়াশা পড়েছে। তবে সময় বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব কমে আসছে। রোদ উঠেছে অনেক স্থানে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাতাসে থাকা ধূলিকণার আধিক্য এবং সাগর থেকে আসা আর্দ্রতা মিলে এমন অবস্থা সৃষ্টি করেছে। এটি মেঘ নয়। সাগরে উচ্চচাপ বলয় আছে। এতে বৃষ্টির সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়েছে।
টানা দুই দিন তাপমাত্রা কমে আসার পর সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ছিল। গতকাল তা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রা ছিল উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আজও এখানেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক দিনের ব্যবধানে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে হয় ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ রাজধানীর তাপমাত্রা আরও বেড়ে হয়েছে ২১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে, ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ অবস্থায় আজ আবার কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল।
এভাবে কুয়াশা সৃষ্টি হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক আজ সকালে বলেন, বাতাসে প্রচুর ধূলিকণা আছে। আবার বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয় রয়েছে। দক্ষিণের সাগর থেকে আসা আর্দ্রতা এবং এই ধূলিকণা মিলে কুয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশা কেটে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আর্দ্রতা ও সাগরে উচ্চচাপ বলয়ের জন্য বৃষ্টি হতে পারে।
মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলছিলেন, আগামীকাল বুধবার দেশের দুয়েক স্থানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। পরের দিনও বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
চলতি মাসে এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি। গত জানুয়ারি এবং আগের ডিসেম্বর মাসে দেশের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
সংবাদচিত্র ডটকম/আবহাওয়া