আগামী ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। তবে সেটি দুইদিন পিছিয়ে আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তফসিল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
তফসিল অনুসারে, ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কাউন্সিলর মনোনয়ন সংগ্রহ শেষে প্রকাশ করা হবে খসড়া ভোটার তালিকা। ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ ও আপত্তির ওপর শুনানি শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।
আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের পর বাছাই ও তালিকা প্রকাশ ২৯ সেপ্টেম্বর। আপিল গ্রহণ, শুনানি, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও যাচাই-বাছাই শেষে ১ অক্টোবর বেলা ২টায় নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে বিসিবি নির্বাচনের ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশন।
১ অক্টোবর বিকেল ৪টায় পোস্টাল ও ই-ব্যালটন বিসিবি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। ৬ অক্টোবর দুপুর ২টার মধ্যে তা ডাকযোগে অথবা ই-মেইলে পাঠাতে হবে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে।
আগামী ৬ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে রাজধানীর হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে। ৬টায় জানানো হবে কারা পরিচালক নির্বাচিত হলেন। এরপর পরিচালকরা সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত করবেন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়, যার ফলাফল আসবে রাত ৯টায়।
বিসিবির সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর। এ নির্বাচনেও গঠিত হবে আগামী চার বছরের জন্য দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে কারা মনোনয়ন নেবেন, কারা শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবেন— সেটিই এখন দেখের অপেক্ষা।
বিসিবির সংবিধান অনুযায়ী, ক্যাটাগরি-১ ঢাকা ভিত্তিক ক্লাবগুলো থেকে ১২ পরিচালক নির্বাচিত হন ৭৬ জন ক্লাব কাউন্সিলরের মাধ্যমে। ক্যাটাগরি-২, যেখানে আঞ্চলিক ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি থাকে, সেখান থেকে আট বিভাগ ও ৬৪ জেলার কাউন্সিলরের ভোটে ১০টি পদ পূরণ হয়। ক্যাটাগরি-৩ ‘অন্যান্য প্রতিনিধি’ কোটায় একজন পরিচালক নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে মনোনীত হন ২ পরিচালক। এভাবে বিসিবির ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়। তারপর বোর্ড পরিচালকরা মিলেই সভাপতি নির্বাচন করেন।
সংবাদচিত্র ডটকম/ক্রিকেট