জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ- পিজিসিবি’র তদন্ত কমিটি। আজ বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকেই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ৫ সদস্যের কমিটি। আগামী শুক্রবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২ টা ৪ মিনিটে হঠাৎ করেই রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে দেখা দেয় এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়।
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে রাজধানীতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় গ্রাহকদের। বন্ধ হয়ে যায় পেট্রোল পাম্প, ফিলিং স্টেশনগুলো। সংকট দেখা দেয় পানির, মেডিকেলের স্বাভাবিক কার্যক্রমও বাধাগ্রস্থ হয়।
বিদ্যুৎ না থাকায় নগরীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের মধ্যে দেখা দেয় নানা শঙ্কা।
একই সময়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সিলেট বিভাগ। বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানপাট অচল হয়ে পড়ে। নরসিংদীতে বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় জেলার ১২ হাজারেরও বেশি শিল্প কারখানার উৎপাদন।
এছাড়া, টাঙ্গাইল, শেরপুর, যশোর, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সর্বস্তরের মানুষ।
এরই মধ্যে ঘোড়াশাল ও টঙ্গীসহ কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু করা হয়। চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের কিছু এলাকায়ও বিদ্যুত আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়তে থাকে।
রাত ৯টার দিকে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, বিদ্যুৎ সচল হয় সব এলাকায়। তবে একই সাথে এতোগুলো গ্রিডে কিভাবে বিপর্যয় হলো তা নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি পিজিসিবি। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি করে পিজিসিবি।
সংবাদচিত্র ডটকম/জাতীয়