বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের তালিকায় অগ্রগতি হয়নি ঢাকার। এ বছরও তালিকার নিচের দিকেই রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানীর নাম, ১৭৩টির মধ্যে ১৬৬তম। অর্থাৎ বাসযোগ্যতার দিক থেকে খারাপ অবস্থানে থাকা শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা ৭ম স্থানে।
সম্প্রতি এ তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের সহযোগী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। বরাবরের মতোই বাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা।
প্রত্যেক বছর বাসযোগ্যতার বিচারে বিশ্বের বড় শহরগুলোর তালিকা প্রকাশ করে ইআইইউ। স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো— এই পাঁচ সূচকের ওপর ভিত্তি করে বাসযোগ্য শহরের তালিকা তৈরি করা হয়। মোট ১০০ পয়েন্টের মধ্যে যে শহর যত বেশি পায়, তালিকায় সেটির অবস্থান থাকে তত ওপরে। চলতি বছর ১৭৩টি শহরের সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইআইইউয়ের মতে, গত বছরের চেয়ে এ বছর ঢাকা শহরে মানুষের জীবন-যাপনের মানের কোনো উন্নতি ঘটেনি। এর আগে, ২০১৯ সালে ইআইইউয়ের সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৮তম এবং তার আগের বছর ২০১৮ সালে ছিল ১৩৯তম স্থানে। ২০২১ সালের সূচকে ১৪০টি শহরের মধ্যে ১৩৭তম ছিল ঢাকা। আর বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারির সময় বিভিন্ন দেশে লকডাউন জারি থাকায় জরিপের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় ইআইইউ। যে কারণে ২০২০ সালে এই সূচক প্রকাশ করা হয়নি।
ইআইইউয়ের তালিকায় এ বছর ১৬৬তম স্থানে থাকা ঢাকার পয়েন্ট ৪৩ দশমিক ৮। বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় একেবারে নিচ থেকে যৌথভাবে ঢাকার সঙ্গে সপ্তম স্থানে রয়েছে জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে। গত বছরও একই অবস্থানে ছিল ঢাকা।
২০২২ সালের মতো চলতি বছরও ইআইইউয়ের বিশ্বের শীর্ষ বসবাসযোগ্য শহর নির্ধারিত হয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। প্রথম স্থানে থাকা ভিয়েনার পয়েন্ট ৯৮ দশমিক ৪। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ।
একেবারে তলানিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক। এরপর লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি, আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স, নাইজেরিয়ার লাগোস, পাকিস্তানের করাচি ১৬৯তম।
সংবাদচিত্র ডটকম/বিশেষ সংবাদ