২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘অনেক ক্ষেত্রেই হতাশার’ বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বুধবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: অবহেলিতরা কী পেয়েছে’ শীর্ষক এক সংলাপে তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত প্রত্যাশার বাজেট ছিল। কারণ একটি বিশেষ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গঠিত সরকার থেকে বৈষম্যবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি ও ভিন্নধর্মী বাজেটের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বাস্তবে এটি অনেকটাই গতানুগতিক এবং অনেক দিক থেকেই হতাশাজনক।”
প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের আগেই উপস্থাপন করা হয়েছে, যা প্রচলিত রীতি ভঙ্গ করেছে,” বলেন দেবপ্রিয়।
গত ২ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। জাতীয় সংসদ অনুপস্থিত থাকায় তা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সম্প্রচার করা হয়। তবে দেবপ্রিয় মনে করেন, বাজেট সম্প্রচারের পরিবর্তে জনসম্মুখে উন্মুক্ত আলোচনা হতে পারত, যাতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতো।
তিনি বলেন, “সরকার কীভাবে সম্পদ বরাদ্দ দিয়েছে এবং আগের অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখে কী পরিবর্তন এনেছে—সেই বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থ যেন সামষ্টিক অর্থনীতির ঢেউয়ে চাপা না পড়ে, সেদিকেও নজর দিতে হবে।”
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ, উন্নয়নকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
সংবাদচিত্র ডটকম/অর্থনীতি