প্রাবন্ধিক-গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হককে বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন থেকে এসব জানা গেছে। এর আগে ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব শারাবান তাহরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি আইন-২০১৩ (২০১৩ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৬(১), ধারা ৬(২) ও ধারা ৬(৩) অনুযায়ী বুদ্ধিজীবী, প্রথিতযশা প্রাবন্ধিক ও বরেণ্য গবেষক আবুল কাসেম ফজলুল হককে কার্যভার গ্রহণের তারিখ হতে তিন বছরের জন্য নিম্নোক্ত শর্ত সাপেক্ষে বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো। শর্তটি হলো- সভাপতির দায়িত্ব এবং অন্যান্য কার্যাবলী বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বাংলা একাডেমি আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক মননের জাতীয় প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দীর্ঘ সময় একে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। এখন সবার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক প্রচেষ্টায় একাডেমিক তার নিজস্ব চরিত্রে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি একাডেমির সভাপতি পদে দায়িত্ব পাওয়া কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন গত ১৭ অক্টোবর পদত্যাগ করেন। এর মাধ্যমে আবুল কাসেম ফজলুল হক একাডেমিতে সেলিনা হোসেনের পদে স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। তিনি ১৯৪০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মুহাম্মদ আবদুল হাকিম ও মা জাহানারা খাতুন। আবুল কাসেম ফজলুল হকের দুই সন্তান অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন ও ফয়সল আরেফিন দীপন। শুচিতা শরমিন বর্তমানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ফয়সল আরেফিন দীপন জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ছিলেন। ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দীপনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
সংবাদচিত্র ডটকম/শিল্প ও সাহিত্য