আরেকটি সিরিজ এবং বাংলাদেশ দলের আরেকটি পরাজয়। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই বাংলাদেশ ক্রিকেটে একমাত্র ধারাবাহিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে গতকাল টাইগাররা হেরেছে ৫৭ রানে। দলের এমন জয়ে সন্তুষ্টি ঝরেছে পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফের কণ্ঠে। এ ছাড়া নতুন বোলিং কোচ অ্যাশলে নফকের সঙ্গে কী প্ল্যান নিয়ে কাজ হচ্ছে তিনি সেসবও জানিয়েছেন।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হারিস রউফ বলেন, ‘বোলিং প্ল্যান এমন যে গ্রাউন্ডই হোক না কেন ওই অনুযায়ী প্ল্যান করতে হবে। তার সঙ্গ ভালো লাগছে। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে উন্নতির কাজ করতে পারছি। এগুলো আমাদের ফায়দা দিচ্ছে। আগে হয়তো ইগনোর করতাম এগুলো। এখন উন্নতির চেষ্টা চলছে সবার মধ্যেই।’
আধুনিক ক্রিকেটের বাস্তবতা নিয়ে হারিস বলেন, ‘দেখুন সবার আগে আধুনিক ক্রিকেটে হচ্ছে ব্যাটাররা মডার্ন ডে ক্রিকেট খেলছে, বোলাররাও খেলছে। আমার মনে হয় আধুনিক ক্রিকেটে পেস বোলাররা ছুরির নিচে থাকে। পিচ, বাউন্ডারি সবকিছু মিলিয়েই। আমাদের চিন্তা এটাই থাকে যত কম রান রাখা যায়। ২০০ রান এখন পার স্কোর বিশ্ব ক্রিকেটে। ছোট ছোট দলও ২০০ রান করছে। ফলে আজকাল এমন চিন্তা থাকে না যে ২০০ রান হয়েছে কি হয়নি। মাঝে মাঝে ১৭০-১৮০ রানকেও কীভাবে জয়ের জন্য উপযুক্ত পুঁজিতে পরিণত করা যায় সেই চিন্তা থাকে আমাদের।’
বোলিং ইউনিট নিয়ে হারিস জানান, ‘দল হিসেবে খেলতে পারলে ভালো হয়। আর অনেক বোলিং অপশন থাকাটা বাড়তি সুবিধা দেয়। কেউ খারাপ করলে অন্য কেউ এসে পুষিয়ে দিতে পারে। আমাদের হাতে ভালো অপশন ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করে তারা নিজেদের প্রস্তুত করে নিচ্ছে। আমার সঙ্গে যারা বল করছে সবাই পেশাদার।’
এদিকে, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট ও পিএসএলে রানবন্যা বইয়ে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন শাহিবজাদা ফারহান। কাল প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেই তিনি ৫৫ বলে ৭৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। ফারহানের প্রশংসা করে রউফ জানান, ‘(ফারহান) ঘরোয়াতে দারুণ খেলেছে। পিএসএলে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ফলে আত্মবিশ্বাসী ছিল। স্বাভাবিকভাবেই নজরে আসে সবার। প্রথম ম্যাচেই ম্যাচসেরা হয়েছে। পাকিস্তানের হয়ে ম্যাচসেরা হলে আরও আত্মবিশ্বাস পাবে সে। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে সামনে এগোতে পারবে।’
সংবাদচিত্র ডটকম/ক্রিকেট