খুলনার কয়রার দক্ষিণ বেতকাশীতে জোয়ারের প্রবল পানির চাপে প্রথম দফায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ভাঙ্গনের একদিন পর সোমবার (১৮ জুলাই) স্বেচ্ছাশ্রমে ভেঙ্গে যাওয়া সেই বেড়িবাঁধ মেরামত করেই বাড়ি ফিরেছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। এতে কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি ও মাছের ঘের রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
জানা যায়, রবিবার ভোররাতে দক্ষিণ বেতকাশীতে কপোতাক্ষ নদের ভাটির টানে চরামুখা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (১৪/১) পোল্ডারের বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রামের ৭/৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।
ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘর-বাড়িসহ দুই হাজার বিঘা মৎস্য ঘের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে ওই দিন স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করলেও দুপুরে জোয়ারের পানির প্রবল চাপে সম্ভব হয়নি। প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, দক্ষিণ বেদকাশীর প্রায় ৩ হাজার মানুষ ভেঙে যাওয়া ৩০০ মিটার বাঁধ প্রাণপণ চেষ্টায় সোমবার জোয়ার আসার আগেই নির্মাণ করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ কাজে বস্তা দিয়েছে। সকালের ভাটি থেকে দুপুরের জোয়ার পর্যন্ত এলাকাবাসী রিং বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জানান, বিভিন্ন নদ-নদীতে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাকোপের ৩১নং পোল্ডারের জাবেরের খেয়াঘাট, লক্ষীখোলাসহ কয়েকটি পয়েন্টে বাঁধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব স্থানে মেরামত কাজ দ্রুত শুরু হবে। এছাড়া অধিক ঝুকিপূর্ণ ৩১নং পোল্ডারে ঝালবুনিয়া, ঢাইংমারি, খলিশা বাধে কাজ চলছে। জাবেরের খেয়াঘাটে কিছু কাজ হয়েছে। আরও কিছু বাকি আছে। বটিয়াঘাটার বুঝবুনিয়ায় কাজ শেষ পর্যায়ে।
দিঘলিয়ার আমবাড়িয়া, মোমিনপুর ও তেরখাদা পারহাজিগ্রাম বাঁধে কাজ চলমান আছে।
সংবাদচিত্র/সারাদেশ