ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা-ভূমিধসে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ জনে। এছাড়া নিখোঁজ আছেন ৫৬ জন। আহত হয়েছে প্রায় ২৫ জন। বাস্ত্যুচ্যুত ৪ হাজার মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা কর্তৃপক্ষের। এদিকে সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো।
টানা কয়েকদিন মুষলধারে বৃষ্টির পর বন্যা এবং ভূমিধসে বিপর্যস্ত ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পারনামবুকো ও আলাগোআসে। এরইমধ্যে প্রানহানির সংখ্যা অর্ধশতাধিক ছাড়িয়েছে। বাড়ছে নিখোঁজের তালিকাও।
ব্রাজিলে গেলো ৫ মাসে চতুর্থবারের মতো বড় বন্যার ঘটনা এটি। পুরো মাস জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের পুর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বন্যায় বহু ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট এবং স্থাপনা পানিতে ডুবে গেছে। পানিবন্দি এবং বাস্ত্যুচ্যুত প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা। পারনামবুকো রাজ্যের ৯ জেলায় জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ক্রমাগত ভূমিধসের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। এদিকে দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলে সেনাবাহিনীসহ ১২০০ উদ্ধারকর্মী মোতায়ন করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মে মাসে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে এই অঞ্চলে। পুরো মে মাসজুড়ে যে পরিমান বৃষ্টির পুর্বাভাস ছিল তাঁর ৭০ শতাংশ বৃষ্টিপাত ৪৮ ঘণ্টায় হওয়ায় হঠাৎ এই বন্যা ও ভুমিধস।
রেসিফ নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাহাড়ের ধারে স্থাপিত ব্রাজিলের নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশটি ঘন ঘন অস্বাভাবিক বৃষ্টির শিকার হচ্ছে।
সংবাদচিত্র/আন্তর্জাতিক