লাখো কোটি মানুষকে চোখের জলে ভাসিয়ে প্রিয় শহর মুম্বাইয়ের হাওয়ায় মিলিয়ে গেছেন ভারতের কোকিলকণ্ঠী খ্যাত সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ হয় তাঁর শেষকৃত্য। নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে অনিশ্বর জগতের পথে যাত্রা শুরু হয় এই নবতীপর শিল্পীর।
লতা মঙ্গেশকরের নিবাস প্রভু কুঞ্জ থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শিবাজি পার্কে। পুলিশ ও নৌবাহিনীর বিশেষ দল পূর্ণ রাষ্ট্রীয় আচারে তার মরদেহ বহন করে নিয়ে যায়।
সুরসম্রাজ্ঞীকে শেষ বিদায় জানাতে শিবাজি পার্কে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে দেশটির বিশিষ্ট নাগরিকরা।
সুরকার, গায়ক, অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরাতাদের প্রিয় মানুষের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।
শিবাজি পার্কে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন তাঁর বোন আশা ভোঁসলে, উষা মঙ্গেশকর।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ শেষে একে একে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, গীতিকার জাভেদ আখতার, ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী, ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার, বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান, অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর ও বিদ্যা বালান, গায়িকা অনুরাধা পাড়োয়ালসহ আরো অনেকে লতা মঙ্গেশকরের মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
সবার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে ভারতের তিন বাহিনীর সদস্যরা লতা মঙ্গেশকরের মরদেহের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানান এবং তার পরিবারের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন।
তার পরপরই হিন্দু রীতি মেনে দাহকাজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। লতা মঙ্গেশকরের বড় ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের ছেলে আদিত্য মঙ্গেশকর তার মুখাগ্নি করেন।
লতার মৃত্যুতে ভারতে দুই দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই সংগীত শিল্পীর সম্মানে ভারতের জাতীয় পতাকা দুই দিন অর্ধনমিত রাখা হবে।
ভারতের কিংবদন্তি এ শিল্পী রোববার স্থানীয় সময় সকালে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
সংবাদচিত্র/আন্তর্জাতিক