প্রতিদিনই বাজারে বাড়ছে কোনো না কোনো পণ্যের দাম। শুধু খাদ্যপণ্যই নয়, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবহণসহ অন্যান্য সেবা খাতের খরচ। গত এক বছরে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত। এতে নিম্নবিত্তের পাশাপাশি কষ্টে মধ্যবিত্তরাও। এমন পরিস্থিতিতে কার্যকর তদারকির সঙ্গে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য রেশনিং কার্যক্রম চালুর তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী তানজিল উল হকের বাজারের ফর্দটা এখন আগের মতো নেই। পণ্য কেনার তালিকায় যেমন কাটছাঁট হয়েছে, তেমনি কমেছে কেনার পরিমাণও। অথচ দাম দিতে হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি।
তানজিলের মতো এমন অবস্থা এখন প্রায় সবারই। টিসিবির তথ্যমতে, গত এক বছরে সরু চালের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ। আটার দাম বেড়েছে ৫১ ভাগ, ২৮ শতাংশ বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম।
২০২১ সালের জুলাই মাসে সরু চাল প্রতি কেজি বিক্রি হতো ৬৫ টাকা দরে। যা এ বছরের জুলাই মাসে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। গত বছর এ সময়ে প্যাকেট আটার দাম ছিল ৩৬ টাকা কেজি, যা এখন ৫০ টাকা। ভোজ্যতেলের দাম তো প্রায় নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল সাধারণ মানুষের। তবে বাজারে তেলের দাম এখন কিছুটা স্থিতিশীল। ২০২১ এর জুলাইয়ে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। এ বছরের জুলাই মাসে তা পৌঁছেছে ১৯০ টাকায়।
গরু ও খাসির মাংসতো সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো, যা এখন ৭০০ টাকা কেজি। আবার কোথাও কোথাও ৭৫০ টাকা।
চড়া সাবান, শ্যাম্পু, শুকনা খাবারের দামও। শুধু খাদ্যপণ্য নয়, যাতায়াতভাড়াও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। পিছিয়ে নেই ডিমের দামও। ফার্মের ডিম গত বছর এ সময়ে ৩৪ টাকা ডজন হিসাবে বিক্রি হলেও এখন তা ৪২ টাকা ডজন। মসুর ডাল ছিল ৯০ টাকা কেজি। যা এক বছরের ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫ টাকা।
ভোগ্যপণ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে অতি প্রয়োজনীয় খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। চিকিৎসা কিংবা অন্য কোনো বিপদ এলে চরমে পৌঁছে যাচ্ছে তাদের সংকট।
নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে আন্তঃমন্ত্রণালয় টাস্কফোর্সকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ ভোক্তাদের।
সংবাদচিত্র/অর্থনীতি