ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর উত্তরাঞ্চলে সাড়ে ৫শ একর জমি মাঠ ও পার্কের জন্য নির্ধারিত থাকলেও এর অধিকাংশই বর্তমানে দখলের কবলে। তবে, এই দখলদারিত্ব রুখে নাগরিকদের জন্য পাবলিক স্পেস পুনরুদ্ধারে ডিএনসিসি এখন সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছে।
শনিবার বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি মাঠে আয়োজিত “ক্রিকেট কার্নিভাল” অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি প্রশাসক। আয়োজনটি ডিএনসিসি ও বনানী স্পোর্টস এরেনার যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর ঘোষণা দিয়েছি—ডিএনসিসির অধীনস্থ কোনো মাঠ আর কোনো ক্লাবের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। মাঠ মানে শুধু খেলার জায়গা নয়, এটি নাগরিকের অধিকার, শিশুদের বিকাশের অবকাশ। ক্লাবের দখলে থাকায় সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছিল, সেটি আর চলবে না।”
ড্যাপ (ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান)-এর তথ্য অনুযায়ী, ডিএনসিসি এলাকায় মাঠ ও পার্কের জন্য ৫৫০ একরের বেশি জমি চিহ্নিত রয়েছে। এসব জমি দখল হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এজাজ। বলেন, “আমরা রাজউকের সঙ্গে সমন্বয় করে জমিগুলো উদ্ধারের প্রক্রিয়ায় আছি। এসব জমির খাজনা-খারিজ বন্ধ করা হবে, জায়গাগুলোতে সাইনবোর্ড দেওয়া হচ্ছে।”
প্রশাসক জানান, দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র দুই মাসের মধ্যে ডিএনসিসি ইতোমধ্যেই কয়েকটি মাঠ দখলমুক্ত করেছে। “গত সপ্তাহে মিরপুরের প্যারিস রোড মাঠে বসানো অবৈধ মেলা উচ্ছেদ করেছি। এর আগেই বাউনিয়ায় ১২ বিঘার একটি বিশাল মাঠ উদ্ধার করেছি, যেখানে অলিম্পিক মানের ফুটবল মাঠ ও শিশুদের জন্য আলাদা খেলার জায়গা থাকবে।”
ডিএনসিসির লক্ষ্য, সব বয়স ও শ্রেণির মানুষের জন্য উন্মুক্ত মাঠ তৈরি করা। এজাজ বলেন, “বড় মাঠে মায়েদের জন্য ক্লাব, সিনিয়র সিটিজেনদের সম্পৃক্ততা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য কেয়ার গিভিং সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। স্থানীয়দের দিয়ে মাঠ ব্যবস্থাপনার কমিটিও গঠন করা হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ, জাতীয় দলের সাবেক তারকা মোহাম্মদ রফিক, হাবিবুল বাশার সুমন, জাবেদ ওমর বেলিম এবং শাহরিয়ার নাফীস।
সংবাদচিত্র ডটকম/ডিএনসিসি