পরীমনি কাণ্ডে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুুরীকে রাজধানীর পন্থপথ থেকে আটক করা হয়েছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করে গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা।
ডিবির গুলশান বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, পরীমণি ইস্যুতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এর আগে দুপুরে ডিএমপি’র ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সংগে আলাপকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পরীমণি’র পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এক নারীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি বলেন, পরীমণি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতো, সেগুলো কাদেরকে নিয়ে করতো, কাদের সহযোগিতায় করতো, কারা তার নেপথ্যে রয়েছে, আমরা তাদের নাম পেয়েছি। তার বক্তব্য নোট করছি। যারাই তার সংগে জড়িত ছিলো সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।
পরীমণি কাদের নাম বলেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কারও নাম না জানিয়ে বলেন, একজন নারীর নামও বলেছে। সেই নারী পরীমণি’র খুবই ঘনিষ্ঠ।
সেই নারী কে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওই নারীর নাম আমরা এখনই বলছি না। তাকে নজরদারিতে রাখছি। শিগগিরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
গত জুনে বিরুলিয়া এলাকায় ঢাকা বোট ক্লাবে তাঁকে ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে আলোচনায় আসেন পরীমণি। গণমাধ্যম কর্মীরা যখন তাঁর বাসায় যান, তখন সেখানে ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। পরীমণি তাঁকে ‘মম মম’ বলে সম্বোধন করছিলেন। তবে বুধবার পরীমণি’র বাসায় দীর্ঘ সময় ধরে র্যাবের অভিযান চললেও চয়নিকা চৌধুরীকে সেখানে দেখা যায়নি। চয়নিকা’র নিরবতা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে।
পরে গণমাধ্যমকে চয়নিকা চৌধুরী জানান, পরীমণি’র বাসায় অভিযান পুরোপুরি আইনী বিষয়। পরীমণি’র সংগে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তিনি জানান, ব্যক্তিগত বিষয় পরীমণি কখনো আমাকে জানায়নি। আমিও যেচে জানতে চাইনি। ওর সংগে সম্পর্কটা কাজের। তুমি কেমন আছো, তুমি খেয়েছো কি না, তোমার শরীর ভালো কি না, একদমই কাজের কথা বলেছি।
চয়নিকা চৌধুরী’র প্রথম সিনেমা বিশ্বসুন্দরীতে অভিনয় করেন পরীমণি। তাঁর প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘অন্তরালে’র জন্য সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হন এই অভিনেত্রী। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওয়েব ফিল্মটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিলো।
সংবাদচিত্র/আইন ও বিচার