প্রায় এক যুগ আগে ভক্তদের ছেড়ে চলে গেছেন পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসন। ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ নামক তথ্যচিত্রে জ্যাকসনকে যৌন নিপীড়নকারী অভিযুক্ত করা হলেও সম্প্রতি তা আদালত কর্তৃক প্রত্যাখিত হয়।
‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ নামে একটি তথ্যচিত্রে ওয়েড রবসন দাবি করেন ১৯৯০ সালে তার বয়স যখন ৭ তখন থেকেই মাইকেল জ্যাকসন তাকে অনেকবার যৌন হয়রানি করেছিলেন। এরপর গণমাধ্যমের কাছে বেশ কয়েকবার জ্যাকসনকে একজন পিডোফাইল বা শিশুদের যৌন নিপীড়নকারী বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
তবে লস এঞ্জেলস আদালত জানিয়ে দিয়েছে মাইকেল জ্যাকসন স্টেটের বিরুদ্ধে ওয়েডের এই মামলা নিতে আর রাজি নয় তারা। কোর্টের বিচারক মার্ক এ ইয়াং তার রায়তে লিখেন, ‘বাদী জ্যাকসনের উপর এখন পর্যন্ত তিনদফা অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু অভিযোগের পক্ষে তেমন কোনো যুক্তি দেখাতে পারেননি। বিবাদী এবং বাদীর মধ্যে বিদ্যমান কোনো বিশেষ সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই মামলার কোনো প্রকার প্রমাণই আনতে পারেননি ওয়েড। তাই আদালত জ্যাকসনের বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগটি প্রত্যাখান করছেন।’
মামলার রায়ের পর এক বিবৃতিতে জ্যাকসনের এস্টেটের প্রতিনিধিত্বকারী জোনাথন স্টিনসাপির জানান, ‘এখন পর্যন্ত এই মামলাটির বিচারকার্য ৩ দফায় দুইজন পৃথক বিচারক দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে। ওয়েড রবসন গত ৮ বছর ধরে এই মামালাটি নিয়ে আমাদের সময় নষ্ট করেছেন। অবশেষে তার শেষ মামলাটিও আদালত কর্তৃক খারিজ হয়ে গেল।’
এদিকে, বাদি ওয়েডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আবারও সুপ্রিম কোর্টের আপিল করবেন তিনি।